বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা নবম দফা অবরোধ চলাকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মুরগির বাচ্চবাহী একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয়ার ঘটনায় শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫০-৬০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় বিএনপি কর্মী নবীর হোসেন ও মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পিকআপ ভ্যানের চালক মোখলেসুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয়ার ঘটনায় চালক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় বিএনপি দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে গাজীপুর থেকে একটি পিকআপভ্যান বয়লার মুরগীর বাচ্চা নিয়ে পাবনার ফরিদপুরে যাচ্ছিলো। পিকআপ ভ্যানটি ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার দুর্গাদহ গ্যাস ফিলিং ষ্টেশন এলাকায় পৌছলে পিকআপ ভ্যানটির গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পিকআপ ভ্যানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। আগুনে পিকআপে থাকা ৭ হাজার ৫০টি মুরগীর বাচ্চার মৃত্যু হয়। দুর্বৃত্তদের হামলায় পিকআপ ভ্যানের চালক মোখলেসুর রহমান আহত হন। এঘটনায় চালক বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে সিরাজগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের অব্যাহত গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় গ্রেপ্তার করে চলমান এক দফার আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্ত করা যাবে না। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তিদাবী করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান।