চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে চলছে এখন আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দিগন্তজোড়া মাঠের সোনালি ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। মাঠ ঘাট জুড়ে সোনালী বর্ণ ধারণ করা আমন ধানের নয়নাভিরাম দৃশ্য এখন চোখ পড়ার মতো। আমন চাষে সেচ খরচ লাগেনা, সারের পরিমাণও কম লাগে। আমন চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে উপজেলার কৃষকদের। তবে কৃষকেরা ধান ভালো হওয়ার ফলে খুশি থাকলেও ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত। ধানের দাম ভালো পেলে তাদের মুখে ফুটবে হাসি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৪৮১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন এবং ২৬০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। রোপা আমন চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে ৩ হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা এবং আধুনিক জাতের বোনা আমন চাষ করতে প্রতিবিঘা জমিতে প্রায় ১২-১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রতি বিঘায় রোপা আমন ৭ থেকে ৮ মণ এবং আধুনিক জাতের বোনা আমন ১৭-১৮ মন ধান উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমান বাজার অনুপাতে বিঘা প্রতি খড়সহ উৎপাদিত রোপা আমন ধান বিক্রি করে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা এবং আধুনিক জাতের বোনা আমন বিক্রি করে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা আয় হবে কৃষকের।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন, আমন আবাদে পোকা-মাকড়ের ঝামেলা কম এবং রিলে পদ্ধতিতে আমন চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়তে কৃষি অধিদপ্তর নানা রকম কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এবারে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন আবাদ হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে এবং আশা করছি, রোপা আমন ধান চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন। তিনি আরও জানান, আধুনিক জাতের মাধ্যমে আমনের আবাদ এই এলাকায় বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী এ কর্মকর্তা।