রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজমের সাথে রবির শিক্ষক সমিতির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় শাহজাদপুরের অভিজাত রেস্তোরাঁ গ্র্যান্ড চাইনিজে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন রবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলাম। সভার শুরুতে রবির ভিসিকে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ড. মো: ফখরুল ইসলাম ফুল দিয়ে বরণ করেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য ভিসিকে অনুরোধ জানান সমিতির সভাপতি। ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি ঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছন্দে ছিলনা। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রবি (ভিসি) প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট রয়েছেন। এর ফলস্বরুপ রবি একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। এজন্য তিনি সকল শিক্ষকদের পক্ষ থেকে রবির ভিসিকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবির ভিসি বলেন, নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ও উদ্যমী শিক্ষকদের কারনেই সেশন জট প্রায় অতিক্রম করে রবির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্নাতক সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। রাজধানী থেকে দূরবর্তী প্রান্তিক অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকা স্বত্বেও পরপর দুবার রবির আয়োজনে জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। এছাড়া বৈরি পরিবেশে থেকেও আপনাদের দীপ্ত পদচারণায় বাংলাদেশের নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে র‌্যাংকিংয়ে প্রথম সারিতে অবস্থান করছে রবি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গুনগত মান অর্জনে শিক্ষক সমিতির দায় রয়েছে। শিক্ষকদের গবেষণা উৎকর্ষতা অর্জন ও সহশিক্ষামুলক কার্যক্রমে নিবিড় অংশগ্রহণ ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় কখনও পরিণত বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারেনা। এজন্য রবির উন্নয়নমুখী ও গতিশীল কার্যক্রমকে অর্থবহ করতে সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণসহ উন্নত গবেষণা ও প্রকাশনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বিশ্বকবির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল উন্নতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার উন্নয়ন অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিস্তারে এবং জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে পূণরায় নির্বাচিত করতে হবে। দেশের ক্রান্তিকালে বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন। এই ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্বার্থে শিক্ষকদের সচেষ্ট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে রবির শিক্ষক সমিতি যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। এ সভায় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য শারমিন সুলতানাসহ রবির সকল বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।