স্থানীয় সময় সোমবার সর্বশেষ এই তথ্য জানানো হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা এই সংস্থা জানিয়েছে, সর্বশেষ চার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক, চারজন ইসরায়েলি এবং তিনজন লেবাননের নাগরিক। অপরদিকে ১৯ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তবে আরও কোনো সাংবাদিক হত্যা, আটক, আঘাত বা হুমকির শিকার হয়েছেন কি না সে বিষয়েও তদন্ত করছে সিপিজে।

সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী শেরিফ মনসুর বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছেন সে সব বেসামরিক নাগরিক যারা সঙ্কটের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। যুদ্ধরত পক্ষগুলোর তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয় বলে দৃঢ়ভাবে মনে করে সিপিজে।

তিনি বলেন, এই হৃদয় বিদারক সংঘাতের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এই অঞ্চলের সাংবাদিকরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করছেন। বিশেষ করে যারা গাজায় অবস্থান করছেন তারা প্রতিনিয়ত হুমকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে সহকর্মী, পরিবার এবং মিডিয়ার সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছেন না।

এদিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে আরও বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু বার্তা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩০ শিশু এবং তিন নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৩৩ বন্দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন নারী বা শিশু সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে হামাস এবং কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ৩৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে যাদের মধ্যে ৩০ জন শিশু এবং তিনজন নারী। হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরুর পর দুপক্ষই বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করে।