এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় দুইজন মৃত ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ায় সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইটের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে মনোনয়ন বাতিল হলেও আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন এই প্রার্থী।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে যাচাই-বাছাই করে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়টি জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন এক ভাগ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে দুইজন ভোটারকে মৃত পাওয়া গেছে। দুইজন ভোটার সরাসরি বলেছেন তারা স্বাক্ষর করেননি। অপর একজন ভোটারকে ফোন দিলে তিনিও স্বাক্ষর দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এছাড়া এক ভোটারের ঠিকানায় গিয়ে ওই নামে কোনো ভোটারকে পাওয়া যায়নি। এসব কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, তারা রায়ে লিখেছেন স্বাক্ষর নেওয়া ভোটার নাকি চার বছর আগে মারা গেছেন। তাহলে আমার প্রশ্ন হলো, এই চার বছরের মধ্যে তো তিনবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে, তাহলে চার বছর আগে মারা যাওয়া ব্যাক্তির নাম ভোটার তালিকায় আসলো কিভাবে। আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আরও ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। ১% ভোটার স্বাক্ষরের গড়মিলের কারণে রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম খন্দকার শরীফ, স্বপন কুমার রায় ও সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম খান দুলালের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এছাড়া যুক্তফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম প্রামানিক, নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল ও মোঃ মোজাফফর হোসেন নামে আরও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন একই কারণে বাতিল হয়।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তাদের বাতিলের কারণ রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও যে সকল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা ৫ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।