জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ৩টি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া দলীয় তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলনকক্ষে সিরাজগঞ্জ-১ (সদরের ৫ ইউনিয়ন ও কাজিপুর), সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের ৫ ইউনিয়ন ও কামারখন্দ) এবং সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গা আংশিক) আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বাছাই শেষে সিরাজগঞ্জ-১ আসনে দুজন, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে একজন ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনে জাকের পার্টির মো. রেজাউল করিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোহেল রানা, এবং সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে শরিফুল আলম খন্দকার (স্বতন্ত্র), সাখাওয়াত হোসেন সুইট (স্বতন্ত্র), আব্দুল হালিম খান দুলাল (স্বতন্ত্র) ও স্বপন কুমার রায় (স্বতন্ত্র), নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মোজাফফর হোসেন (স্বতন্ত্র) ও মুক্তিজোটের প্রার্থী নুরুল ইসলাম প্রামানিক। মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা রয়েছেন। এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রার্থীরা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট অভিযোগ করে বলেন, বেছে বেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরই বাতিল করা হয়েছে। ভুল হলে দুয়েকজনের হবে। কিন্তু সবারই একই ধরনের ভুল দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায় বলেন, আমি ৪ হাজার ২০০ জন ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছি। কিন্তু ৫২৮ জন ভোটারের স্বাক্ষর কম রয়েছে বলে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব।

অপর প্রার্থী রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল হালিম খান দুলাল বলেন, নিয়মাবলির কোথাও ১ শতাংশ স্বাক্ষরে ভোটার নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়নি। অথচ সেই অজুহাতে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।