সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গত দুই দিনে বিভিন্ন এলাকায় শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদিকে হঠাৎ করে শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চরম শিয়াল আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জিন্দানী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাইদ খন্দকার।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য ও নিরাপদ আবাসের অভাবে হঠাৎ করেই তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে গেছে। মাঝে মধ্যেই কোনো না কোনো গ্রাম এলাকা থেকে শিয়াল লোকালয়ে ঢুকে লোকজনকে কামড় দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার দক্ষিণ চড় এলাকায় গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে তামান্না খাতুন (৮), রাসেল সরকারকে (৭) শিয়াল কামড়ে দেয়। এর আগে গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার নওগাঁ গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মঞ্জিলা খাতুন (৪৮), শাহিদা খাতুন (৪৬)-সহ দুই দিনে অনন্ত ছয়জনকে শিয়াল কামড়ে দিয়েছে। এতে করে তাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।

শিয়ালের কামড়ে আহত নওগাঁ গ্রামের শাহিদা খাতুন বলেন, বিকালে ফসলি মাঠ থেকে ছাগল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে তিন থেকে চারটি শিয়াল পায়ে কামড়ে দেয়। সেই সাথে শরীরে বিভিন্ন অংশে নখ বসিয়ে দেয়। পরে ভয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলেও শিয়ালগুলো যেতে চাচ্ছিল না। তাতে মনে হয়েছে শিয়ালগুলো মানুষের ওপর ক্ষেপে আছে। অবশ্য নওগাঁ গ্রামবাসী শিয়ালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এবং লোকজনকে কামড়ানোর কারণে শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিন শিয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোনোয়ার হোসেন বলেন, শিয়াল মানুষকে কামড়ে দিলে জলাতঙ্ক রোগের আশঙ্কা থাকে। তাই প্রতিষেধক নিতে হয়। তিনি আহতদের দ্রুত হাসপাতালে এসে প্রতিষেধক নেওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন আরও বলেন, বন জঙ্গল উজার করায় নিরাপদ আবাসের অভাব ও খাদ্যসংকটের কারণে জীবন বিপন্ন হওয়ায় হয়তো লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে শিয়াল।