আফগানিস্তানকে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ওঠার আশা বাচিয়ে রেখেছে। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হাসান শান্তর জোড়া সেঞ্চুরির পর তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলামের দূরন্ত বোলিংয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী হয় টাইগাররা।

বাংলাদেশ দল বি গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে আছে দুই পয়েন্ট নিয়ে। বাংলাদেশের নেট রান রেট ০.৩৭৩। শীর্ষে থাকা শ্রীলঙ্কার রান রেট ০.৯৫১। আফগানিস্তানের নেট রান রেট -১.৭৮০। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তান কেবল শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করলেই হবে না, জিততে হবে অনেক বড় ব্যবধানে যাতে রান রেটে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে পারে।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হওয়া আফগানদের জন্য তা মোটেও সহজ হবে না। তাই বলা যায় সুপার ফোরে বাংলাদেশের খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার পর একেবারে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ের কোন বিকল্পই ছিল না। তিনজন খেলোয়াড় এবং ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন ঘটিয়ে সফল হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাাটিং এবং বোলিংয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েই কুপকাত করেন আফগানদের। মিরাজ ও শান্তর সেঞ্চুরি ছাড়াও দ্রুত গতিতে রান তোলেন সাকিব ৩২ ও মুশফিক ২৫। ওপেনার নাইম শেখ করেন ২৮ রান। এ ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন মিরাজ। লোয়ার অর্ডার ব্যাটার মিরাজ দলের প্রয়োজনে ওপেনিংয়ে নামেন এবং ১১২ রান করেন। হাতের আংগুলে ব্যথা পাওয়ায় তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হন।

কিছুদিন আগে দেশের মাটিতে এই আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ দল। তাই ম্যাচের আগে বেশ চাপের মধ্যে ছিল সাকিব বাহিনী। কিন্তু মাঠে চমৎকার খেলে সে চাপ কাটিয়ে উঠে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ দল। মিরাজের ১১২ (রিটায়ার্ড হার্ড) এবং শান্তর ১০৪ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায়। কারণ এর আগে আফগানিস্তান ওয়ানডে ক্রিকেটে পরে ব্যাটিং করে কখনই তিনশ রানের কোটা অতিক্রম করতে পারেনি। কিন্তু এ কঠিন লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে গুরবাজের উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ইব্রাহিম এবং রহমত শাহ দারুন ব্যাটিং করে বাংলাদেশ দলকে বেশ চাপের মধ্যে ফেলে দেন। বিশেষ করে ইব্রাহিম ছিলেন বেশ সাবলিল। এ দুজন বলতে গেলে প্রয়োজনীয় গতিতেই রান সংগ্রহ করেন। দলীয় ৭৯ রানে রহমত শাহ আউট হলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ইব্রাহিম। এর পর হাসমতউল্লাহও দারুন ব্যাটিং করে পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। ইব্রাহিম ব্যক্তিগত ৭৫ রানে আউট হলে চাপে পরে আফগানরা। এর পর প্রয়োজনীয় গতিতে রান তুলতে না পারায় পরের দিকের ব্যাটাররা দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়েই উইকেট হারাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তারা ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানে অল আউট হলে ৮৯ রানে জয়ী হয় বাংলাদেশ দল।