পিতা প্রয়াত জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আমজাদ হোসেন মিলনের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে সিরাজগঞ্জ-৩ রায়গঞ্জ-তাড়াশবাসীর ভাগ্যোন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করতে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন কিনলেন তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নারীনেত্রী হোসনে আরা পারভীন লাভলী। সংসদে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দিনরাত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়ানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সমর্থন পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন নারীনেত্রী হোসনে আরা পারভীন লাভলী। এ আসন নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে কর্মীবান্ধব লাভলীকেই চান স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। তবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যোগ্য প্রার্থীকেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মনোনয়ন দেবেন বলে ধারণা রায়গঞ্জ-তাড়াশবাসীর।
রোববার (১৯ নভেম্বর ২০২৩) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন নারীনেত্রী হোসনে আরা পারভীন লাভলী। ফরম সংগ্রহকালে উপজেলা উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই আসন থেকে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন।
তৃণমূল রাজনীতি থেকে উঠে আসা হোসনে আরা পারভীন লাভলী রায়গঞ্জ-তাড়াশ উপজেলার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ও সেবামূলক কর্মকান্ডেও তার উপস্থিতি নিয়মিত। বিশেষ করে দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি গরীব দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ ক্রীড়া সভা সমাবেশে তার অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন কর্মকান্ড উপজেলাজুড়ে বেশ প্রশংসনীয়।
নারী নেত্রী হোসনে আরা লাভলী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার সদরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস মাগুড়াবিনোদ গ্রামে। পিতা সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বেসরকারি সেক্টর পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সহকারী সর্বাধিকনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত গাজী ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন। আর মা মরহুমা জাহানারা মিলন ছিলেন তাড়াশ উপজেলায় মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা।
হোসনে আরা লাভলী বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠায় ছোটবেলা থেকেই মানুষের কল্যাণে নানাভাবে কাজ করেছি। নির্বাচিত প্রতিনিধি হলে জনগণের সেবা আরও ভালোভাবে দেয়া যায়। তখনই সিদ্ধান্ত নিই জনগণের কাজ করতে হবে। স্থানীয়ভাবে এলাকার উন্নয়ন, জনগণের সেবা করা, সর্বোপরি নারী উন্নয়ন ও নারীদের কল্যাণে কাজ করার জন্যই স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতে চেয়েছি। ২০১৭ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসন (৭, ৮ ও ৯) সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছি। পিতা এমপি আমজাদ হোসেন মিলনের অনুপ্রেরণায় ও দিক-নির্দেশনায় আজ অবধি তাড়াশ-রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া সংগঠন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা ও বিভিন্ন ক্লাবে সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছি।
আমার বাবা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলনের হাতধরে রাজনীতিতে এসেছি। আমি ছোটবেলা থেকেই জনগণের সেবা করার ব্রত নিয়েই বড় হয়েছি। বাবাকে দেখেছি কিভাবে জনগণ ও নেতাকর্মীদের পাশে থেকে কাজ করেছেন। আমি ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছি। জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলাম। আমি সবসময় জনগণের পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করেছি। করোকালীন সময়ে অসহায় ও কর্মহীন মানুষেল পাশে খাদ্য, বস্ত্র ও স্বাস্থ্য সামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ ও দূর্ঘটনায়, ঝড়ে ও আগুণে পোড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাড়াশ-রায়গঞ্জ ও সলঙ্গার প্রতিটি গ্রামে আমার বাবার কাজের ছোঁয়া রয়েছে। বাবার কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আমি মনোনয়ন উত্তোলন করেছি।
লাভলী আরও বলেন, অবহেলিত রায়গঞ্জ-তাড়াশের উন্নয়নের স্বার্থেই আমি প্রার্থী হয়েছি। পিতা অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতেই আমি নির্বাচনী মাঠে নেমে নেতাকর্মী ও জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি দীর্ঘদিন ধরে দলের হয়ে কাজ করছি। আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবেন। আমি মনোনয়ন পেলে এ আসনে বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করে নেত্রীকে উপহার দেবো।