স্বেচ্ছায় পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সমালোচিত সেই মুশতাক আহমেদ। এতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার আর কোনো সম্পর্ক থাকছেনা বলে জানান তিনি।

শনিবার মুশতাক আহমেদ বলেন, গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।

গভর্নিং বডির সভাপতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেন জামান বলেন, তার পদত্যাগ পত্র পেয়েছি। কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সদ্ধিান্ত নেওয়া হবে।

পদত্যাগপত্রে মুশতাক লেখেন, আমি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্কুল কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি। যা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে আমি আশা করছি। আইডিয়াল স্কুলের কমিটিতে থাকার সময়টি আমার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমার জীবনের এই মুহূর্তে আমি এমন একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যা সত্যিই আমার হৃদয় ভেঙে দেয়।

কদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও এসব অভিযোগ বারবার আনা হয়েছে। স্কুল কমিটির স্বার্থে আমি আমার অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছি। স্কুলে দায়িত্ব পালনকালে বন্ধুরাও শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এটা অবশ্যই আমার জন্য কষ্টের।

মুশতাক লেখেন, এই প্রতিষ্ঠানে সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি অসীম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে আমি বড় ধরনের ঝড় মোকাবিলা করেছি। আমি সর্বদা ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন গণমাধ্যমকে জানান, মুশতাক আহমেদকে ওই স্কুলের সীমানায় না যাওয়ার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। গভর্নিং বডির সব ধরনের সভা সমাবেশে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ। এ ঘটনার জেরে ওই ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও আইডিয়ালের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে আসামি করা হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।