ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানার এস আই মোঃ মনির হোসাইন গং এর বিরুদ্ধে মাদক তল্লাশির নামে নাটক করে, মাদক নির্মূলের অন্তরালে বাসায় ঢুকে তান্ডব চালিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন ছন্টেক এলাকায় ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান ( ৫৭ ) এর বাসায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের নিরাপত্তার প্রতীক না হয়ে মূর্তিমান আতংকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আসবাবপত্র ভাংচুর, লুটপাট, মারধর এবং নিরপরাধ ব্যাক্তিকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার পরেও এস আই মোঃ মনির হোসাইন গং এর অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এস আই মোঃ মনির হোসাইন গং এর অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে, মোঃ মনির হোসাইন গং এর মত অসাধু পুলিশ সদস্য আরো গুরুতর অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার আশংকা বোধ করছে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং সচেতন মহল । এস আই মোঃ মনির হোসাইন গং এর অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে প্রতিকারহীন শক্তির অপরাধে বিচারের বানী যেন নীরবে নির্ভৃতে কাঁদছে । এস আই মোঃ মনির হোসাইন গং এর বিরুদ্ধে জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় সংবাদ প্রকাশ এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র সচিব সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও প্রতিকার না পাওয়ার কারনে ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান চরম উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠায় কোনো এক অজানা আতংকে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানার এস আই মোঃ মনির হোসাইন এর নির্দেশে এ এস আই মোঃ বায়েজিদ হোসাইন এবং আনসার মিজান এর বিরুদ্ধে মো. রিফাত নামে একজনকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ছনটেক এলাকা হতে ৫ পুরিয়া হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ গাড়ী চালক আব্দুল মান্নান (৫৭) নামে এক ব্যাক্তির বাসায় জোর পূর্বক অনাধিকার প্রবেশ করে জুলুম, লুটপাট এবং বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দিন আনুমানিক ১১ঃ০০ ঘটিকার সময় যাত্রাবাড়ী থানাধীন আব্দুল মান্নান (৫৭),পিতা – মৃত হেদায়েত উল্লাহ, সাং – হোল্ডিং নং – ২৯/১৩, ছনটেক রওশন কুঞ্জ, নিচতলার ভাড়াটিয়ার বাসায় যাত্রাবাড়ী থানার এস আই মোঃ মনির হোসাইন তার সঙ্গীয় ফোর্স এবং সোর্স  ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নানের বাসায় অনাধিকারে প্রবেশ করে । ভুক্তভোগী গাড়ি চালক আব্দুল মান্নান এসআই মনিরকে তার নিজ বাসায় প্রবেশ করার কারন জিজ্ঞাসা করলে এস আই মোঃ মনির হোসাইন, ভুক্তভোগীকে  নানারকম ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করে ভুক্তভোগীর ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন দেলুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করার জন্য বাসায় প্রবেশ করেছে বলে এস আই মোঃ মনির হোসাইন ভুক্তভোগীকে জানায়। ভুক্তভোগীর ছেলেকে বাসায় না পেয়ে বাসায় মাদক তল্লাশি নামে নাটক করে এস আই মোঃ মনির হোসাইন সহ তার ফোর্স এবং সোর্স ও অজ্ঞাতনামা দুইজন লোক ভুক্তভোগীর বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর ও তছনছ করে ফেলে। অতঃপর এস আই মোঃ মনির হোসাইন সহ তার ফোর্স এবং সোর্সরা মাদক না পেয়ে এস আই মোঃ মনির হোসাইন ভুক্তভোগীর বাসার বিছানার নিচ হতে তার উপার্জিত ২৮,০০০/- (আটাশ হাজার) টাকা এবং ওয়ার্ডড্রপের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ১১,৫০০/- (এগারো হাজার পাঁচশত) টাকা মিলিয়ে সর্বমোট নগদ ৩৯,৫০০ টাকা জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর বাসা হতে টাকা নেওয়ার ব্যপারে যাত্রাবাড়ী থানায় এস আই মোঃ মনির হোসাইনকে বাধা প্রদান করিলে এস আই মোঃ মনির হোসাইন ভুক্তভোগীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং  শরীরে হাত প্রদান করে। ভুক্তভোগীর ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে না পেরে যাত্রাবাড়ী থানার এস আই মোঃ মনির হোসাইন ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগীর গাড়ির হেল্পার মোঃ সানিকে (২৮) অন্যায় ভাবে কোনো মাদক না পেয়ে তার বাসা হতে টানা হেচড়া করে হেরোইন নামক মাদক মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করে। অতঃপর গত ৩০/০৮/২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১২:৩০ ঘটিকার সময় এবং ভোর ৪:০০ ঘটিকার সময় যাত্রাবাড়ী থানার এস আই মোঃ মনির হোসাইন সহ তার ফোর্স এবং সোর্স নিয়ে ভুক্তভোগীর ছেলেকে গ্রেপ্তার করার জন্য ভুক্তভোগীর বাসায় আসে। ভুক্তভোগীর ছেলেকে না পেয়ে এস আই মোঃ মনির হোসাইন ভুক্তভোগীকে উদ্দেশ্য করে বলে যে, তোমার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া মাত্র হাড়গোড় ভেঙ্গে মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিব এবং আরো বলে যে, ভুক্তভোগীর  বাসা হতে টাকা পয়সা নেওয়ার ব্যপারে কারো নিকট জানালে কিংবা বাড়াবাড়ি করলে এস আই মোঃ মনির হোসাইন ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে তার ফোর্স এবং সোর্স নিয়ে বাসা হতে চলে যায়। এছাড়া ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নানকে এস আই মোঃ মনির হোসাইন গং আব্দুল মান্নানের বাসায় গিয়ে বিভিন্ন সময় নানা রকম ভাবে সাংবাদিক সহ ভুক্তভোগীকে হুমকি দুমকি প্রদান করে আসছে। যাত্রাবাড়ী থানায় এসআই মোঃ মনির হোসাইন গং এর অপকর্মের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নানের বাসায় তথ্য অনুসন্ধান করার কারনে এবং সংবাদ প্রকাশ হওয়ার আশংকায় গত ১২/০৯/২০২৩ ইং তারিখ দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শহিদুল ইসলাম রাজু এবং অপরাধ বিচিত্রার সিটি রিপোর্টার মোঃ ফরমান উল্লাহ খান নিবিড় কে যাত্রাবাড়ী থানায় এস আই মোঃ মনির হোসাইন নানা রকম ভয়-ভীতি সহ মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এসআই মোঃ মনির হোসাইন এর হুমকির বিষয়ে মোঃ শহিদুল ইসলাম রাজু গত ১৬/০৯/২০২৩ ইং তারিখ মাননীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান করে। ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান সুবিচার পাওয়ার স্বার্থে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. মনির হোসাইন, এএসআই মো. বায়েজিদ হোসাইন এবং আনসার মিজান এর অপকর্মের বিরুদ্ধে মাননীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট গত ০৫/০৯/২০২৩ ইং তারিখ লিখিত অভিযোগ প্রদান করে। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর মামলার সূত্রে জানতে পারে, তার গাড়ির হেল্পার মো. সানির নিকট কোনো মাদক না পেয়ে সানিকে মামলার ১ নং আসামী এবং তার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন দিলুকে ৩ নং পলাতক আসামী হিসেবে যাত্রাবাড়ী থানাতে হেরোইন নামক মাদক দিয়ে এসআই মোঃ মনির হোসাইন একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যার মামলা নং- ১২৭ তাং-২৯/০৮/২০২৩ ইং । এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী এবং তার ছেলেকে নিয়ে এস আই মোঃ মনির হোসাইন এবং এ এস আই বায়েজীদ হোসাইন এর চরম বেপোরোয়া ও মারমুখী আচরণের কারনে ভুক্তভোগী ও তার ছেলে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় এক অজানা আতঙ্কে দিনযাপন করছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী এবং তার ছেলে জানমালের চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলে জানা গেছে।

 অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুক্তভোগী এসআই মনির হোসেন গং এর অপকর্মের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে অবগত করলে এসআই মনির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে এবং গাড়ির হেল্পারকে হেরোইন নামক মাদক উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,  গত ০৫/০৯/২০২৩ ইং তারিখ অভিযোগ দেওয়ার পর ০৬/০৯/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ভোর ৩ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগীর বাসায় এসে এসআই মোঃ মনির হোসাইন এবং তার সঙ্গীয় ফোর্স ও সোর্স হুমকি দুমকি দেওয়ার চেষ্টা করে । এস আই মোঃ মনির হোসাইন গংরা বাসার গেট তালাবদ্ধ দেখে ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান কে না পেয়ে উচ্চ স্বরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়।

এ বিষয়ে এসআই মোঃ মনির হোসাইন এর নিকট মুঠোফোনের মাধ্যমে এবং সাক্ষাৎ করে জানতে চাইলে তিনি কোনো প্রকার সন্তোষ জনক উত্তর দিতে পারেন নি বরং সংবাদকর্মীকে টাকা পয়সা দিয়ে আপোষ করার চেষ্টা করেন।