সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রায় আট মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে জরুরি রোগী পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলাবাসীদের।

এদিকে দীর্ঘ সময় বিকল অ্যাম্বুলেন্স মেরামত বা নতুন অ্যাম্বুলেন্স না কেনায় চালকরাও বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়ে বারবার চিঠি দিলেও এর কোনো সামধান হয়নি।

জানা গেছে, গত আট মাস ধরে অ্যাম্বুলেন্স দুটির একটি দুর্ঘটনাজনিত ও অন্যটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। মেরামতের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বারবার চিঠি দিয়ে জানানো হলেও অর্থ না পেয়ে তা মেরামত করা সম্ভব হয়নি। আর অ্যাম্বুলেন্স দুটি নষ্ট হওয়ায় অলস বসে থাকা চালক মো. আব্দুল মোমিন গত ১৪ অক্টোবর বদলি হয়ে পাশের কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে গেছেন।

ভোগান্তিতে পড়া উপজেলার মাঝিড়া গ্রামের সোহানুর রহমান জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হিসাবে জেলা সদরে পৌঁছাতে লাগত মাত্র ৩০০ টাকা। সেখানে যেতে এখন গুণতে হচ্ছে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। এছাড়াও গর্ভবতী মাকে বিনা খরচে বহন করা হয়। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স বিকল থাকায় এ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলার তালম গ্রামের বসিন্দা মোতালেব হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে তার এক নিকটাত্মীয় হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্সই বিকল হয়ে পড়ে আছে। পরে বাধ্য হয়ে রোগীকে ভাড়ায়চালিত অ্যাম্বুলেন্সে করে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।