সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অবৈধভাবে নদী খননের মাটি নিয়ে উপজেলা পরিষদের পুকুরের চারপাশে রাস্তা সংস্কার করার অভিযোগ উঠেছে। অথচ ওই রাস্তা সংস্কারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ( এলজিইডি) থেকে টেন্ডারে কাজ চলমান রয়েছে।
জানা যায়,সম্প্রতি উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের ভিতরে পুকুরের চারপাশে রাস্তা সংস্কারের জন্য এলজিইডি থেকে ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে সেই কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এই সংস্কারের নাম করে পৌর শহরের শ্রীকোলা চকিদহ ব্রীজের পশ্চিমপাশে নদী খননের মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। গত দু’দিন ধরে বেকো মেশিন ও একাধিক ট্রাক লাগিয়ে এই মাটি কাটা হচ্ছে। শ্রীকোলা গ্রামের হারান নামে জৈনেক ব্যক্তি এই মাটি কেটে নিয়ে ট্রাকে করে উপজেলা পরিষদের পুকুরের চারপাশে ফেলছেন। শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়,বেকো মেশিন দিয়ে নদীর একপাশে থাকা মাটি কাটা হচ্ছে। বেকো মেশিনের চালক হাবিব জানায়,উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা স্যার আমাদের মাটি কাটতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমরা মাটি কাটছি। এসময় ছবি তুলতে গেলে মাটি কাটার দায়িত্বে নিয়োজিত হারান মিয়া ছুটে এসে তাতে বাধা দেন। এবং এ নিয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সাথে কথা বলতে বলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাটি অনুমতি ছাড়া কিভাবে কাটা হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি জানান,উপজেলা পরিষদের পুকুরের রাস্তার কাজ চলছে। ওটা সরকারি কাজ। তাই ইউএনও স্যার এসে আমাদের এখান থেকে মাটি কেটে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য আমরা মাটি কাটছি। তবে এ নিয়ে কোন সংবাদ না প্রকাশ করার অনুরোধ জানান তিনি।
অভিযোগ আছে, এই পুকুরের চারদিকে সংস্কারের নামে এর আগে টেন্ডার ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তা জায়েজ করতেই নাকি এখন নদী খননের মাটি কেটে আনা হচ্ছে।
পুকুর উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি কোন মাটি কাটছি না। আমার কাজের মধ্যে কোন মাটি ধরা নেই।
মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চেয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।