দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার পর সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে উন্নয়নের স্বার্থে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ নেমেছেন বেলকুচি উপজেলা পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল।

গত ২৬ নভেম্বর সকালে গণভবনে আওয়ামীলীগের মনোনায়ন প্রত্যাশীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন. যদি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চান করবেন। এই ঘোষণার পরই নুরুল ইসলাম সাজেদুল বেলকুচি-চৌহালি আসনের সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গণসংযোগ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সাজেদুলের পক্ষে আওয়ামীলীগের মূলধারার নেতাকর্মীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন এবং সাধারণ ভোটাররাও তাকেই সমর্থন দিচ্ছেন।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিরাজগঞ্জ-৫ অবহেলিত বেলকুচি-চৌহালীর উন্নয়নের স্বার্থেই আমার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এ আসনের বর্তমান এমপি কোনো উন্নয়ন করেননি। তিনি সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ কারণে নেতাকর্মী ও জনগণের চাপে আমার ভাই বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণা দেওয়ার পর নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আশা করি উপজেলা নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনেও আমার ভাই বিজয়ী হবে।

নূরুল ইসলাম সাজেদুল ২০১৯ সালের ১০ মার্চ দেশের প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর সিরাজুল ইসলাম। এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েই বেলকুচি উপজেলাকে মডেল উপজেলা পরিষদে পরিণত করতে দিনরাত কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ সকল প্রকার উন্নয়নে তিনি নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন। বিশেষ করে মহামারি করোনার সংকটের সময় অনেক জনপ্রতিনিধি ঘরে বসে থাকলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেলকুচি উপজেলার কর্মহীন, অসহায়-দরিদ্র মানুষের পাশে থেকেছেন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল। সমাজের যেসব মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, কিন্তু লোক লজ্জায় কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারেননি তাদেরও গোপনে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুল।

বেলকুচি সরকারী কলেজের ভিপি ও বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী নূরুল ইসলাম সাজেদুলের পরিবারটির নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে বেলকুচি উপজেলাজুড়েই। সাজেদুলের আপন ছোট ভাই সাজ্জাদুল হক রেজা বেলকুচি পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের মেয়ে জামাতাও নূরুল ইসলাম সাজেদুল।