সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় ট্রাক নিয়ে গরু লুটতে এসে গণধোলাই খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিন ডাকাত। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচ ঠাকুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক ডাকাতরা হলো, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার উল্টাডাব গ্রামের মৃত আফাজ আলী সরকারের ছেলে মো. শুকচান (৩৮), একই গ্রামের হাসা মন্ডলের ছেলে তয়জাল (৪৫) ও টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার আন্দারীপাড়া গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মো. সাদিকুল মিয়া (৪৫)।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ভাটপিয়ারীসহ ছোনগাছা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় গরু চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছিল। চোর ডাকাতের তৎপরতা বাড়ায় কয়েক গ্রামের মুরুব্বি ও যুবকেরা মিলে পালাক্রমে রাতে পাহারা দিচ্ছে। এ অবস্থায় সোমবার রাত ২টার দিকে পাঁচঠাকুরী যমুনা বাজার হাট মোড়ে পাহাড়া দেওয়ার সময় একটি ট্রাক দেখে সন্দেহ হয়। গাছের গুঁড়ি ফেলে ট্রাকটির পথরোধ করলে ওই তিনজনসহ আরও ১০-১২ জন ডাকাত রামদা, ছুরি, ডেগার চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখায়। পরে চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসী ছুটে এসে দুজনকে ধরে ফেলে। বাকিরা বেপরোয়াভাবে ট্রাক চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাবার পথে পাশের পোটল গ্রামে পাহারারত যুবকদের হাতে আটক হয়। সেখান থেকে সাদিকুলকে আটক করা হলেও বাকিরা ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তিনজনকে গণধোলাই এবং ট্রাকটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন ডাকাতকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে শুকচান ও তয়জাল গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাদিকুল নামে অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ রাতেই তিন ডাকাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের কাছ থেকে তালা ভাঙার একটি চাইনিজ কাটার ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। দুজনকে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান তিনি।