দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম তুলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ রাজপথের পরীক্ষিত কর্মীবান্ধব নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসানকে দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনি বিজয় লাভ করবেন এবং সিরাজগঞ্জ-কামারখন্দে যুগান্তকারী অনেক পরিবর্তন আসবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরে আলোচনার কেন্দ্র-বিন্দুতে পরিণত হয়েছে হোসেন আলী হাসানের নাম। একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে এলাকার উন্নয়নে এবং কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে হাসানকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
নিজের সাংগঠনিক পরিচয় সবমিলিয়ে নির্বাচনী এলাকায় বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসানের ব্যাপক পরিচিতি ও জনসমর্থন রয়েছে। তিনি মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন আওয়ামী লীগ তাঁকে মনোনয়ন দিলে দলীয় নেতাকর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে সবাই তার পক্ষে কাজ করবেন এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের পাশাপাশি সরকার ও আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ে ভালো যোগাযোগ থাকায় হোসেন আলী হাসানের পক্ষেই কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দৃঢ় মনোবল নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জ-কামারখন্দের পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও ইউনিয়নে ইউনিয়নে উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান। নৌকার মনোনয়ন নিশ্চিত ও নিজের জনপ্রিয়তা জানান দিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান সিরাজগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের যেকোনো বিপদ-আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন দলের যেকোনো নেতাকর্মী বিপদে পড়লে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। এমনকি নিজ এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সহায়তা প্রদান ও সকল দলীয় নেতাকর্মীদের সাধ্যমত সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি এলাকার গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্যে আর্থিক সহযোগিতা করেন থাকেন।
তৃণমূল রাজনীতি থেকে উঠে আসা কে. এম হোসেন আলী হাসান সিরাজগঞ্জ-কামারখন্দ উপজেলার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা, সমাজসেবামূলক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তার উপস্থিতি নিয়মিত। দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি গরিব দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ ক্রীড়া সভা সমাবেশে তার অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সিরাজগঞ্জ জুড়ে প্রশংসিত। বিশেষ করে নিজ উদ্যোগে দলীয় নেতাকর্মীদের আতরঘর খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়কে দুইতলা ভবনে উন্নীতকরণসহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ অফিস সংস্কার করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
২০০৭ সালের আলোচিত এক এগারোর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাহসী ভূমিকা রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান। সেসময়ের বাস্তবতায় অনেক নেতা যখন গা ঢাকা দেন তখন তিনি রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলকে গতিশীল ও তরান্বিত করার জন্য তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সিরাজগঞ্জের লাখো মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজপত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বরাবর প্রেরণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে আওয়ামী লীগের জননেতা কে.এম হোসেন আলী হাসানের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলেন আজকের সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তির আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারির যোদ্ধা বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব কে.এম হোসেন আলী হাসান।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে চাই। সেই সঙ্গে সিরাজগঞ্জ-কামারখন্দবাসীর কল্যাণে কাজ করতে চাই। এজন্যই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে দলের নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পাড়া-মহল্লা ও ইউনিয়নে ইউনিয়নে গণসংযোগ করে যাচ্ছি।
গণসংযোগকালে জননেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হাসান বলেন, আমি যখন দলের যেই দায়িত্ব পেয়েছি সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি। আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে দলকে সুসংগঠিত করতে উল্কার মতো ছুটে বেড়িয়েছি জেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে সবসময়ই পাশে ছিলাম এখনও আছি। আগামী নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে এ আসনে মনোনয়ন পাবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী হোসেন আলী হাসান আরও বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ এবং লালন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্নকে আমি ও আমরা একসাথে বাস্তবায়ন করার জন্য সচেষ্ট থাকবো ইনশা আল্লাহ্।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। শাহজাদপুর সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ শাখার যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে ৬ দফা আন্দোলন ও ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। শ্রদ্ধাভাজন জননেতা শহিদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও মরহুম মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঙ্গে ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে কাজিপুর-১ আসন ও সিরাজগঞ্জ সদর আসনসহ সিরাজগঞ্জ জেলার সকল আসনে গুরুত্ব¡পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে কাজিপুরের বরইতলা, সিরাজগঞ্জে শৈলাবাড়ী ও ভাটপিয়ারি যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এ অঞ্চল শত্রুমুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাত্রিতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত এবং ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতা নিহত হওয়ার পর তিনি কাজিপুর থানা ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহকর্মীদের সুসংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কাজিপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য ও ১৯৮৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯১ এর কাউন্সিলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালের কাউন্সিলেও পুনরায় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সহচর শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর সান্নিধ্য থেকে রাজনীতি করা বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.এম হোসেন আলী হাসান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে এক চুলও সরে দাঁড়াননি। তার আদর্শে অটল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও আদেশ গ্রহণ করে আজও দলের একজন নিবেদিত কর্মী হয়ে দেশ ও দলের কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৮১ সাল ১৭ মে বাংলাদেশের এক মহা সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতিক হিসেবে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৮১ সাল থেকে ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম-লড়াই করে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিশাল বিজয়ের মধ্যদিয়ে দেশে স্বাধীনতা শক্তি ক্ষমতায় আসীন হন।
২০০৫ সালে প্রত্যেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দক্ষতার সাথে ৯ বছর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ৯ বছরের ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল ‘জামায়াত-বিএনপি’ ও ২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল সেনা সমর্থিত সরকারকে আন্দোলন সংগ্রাম করে মোকাবেলা করেছেন। ২০১৬ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
দলের জন্য উল্কার মতো ছুটে চলা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কে.এম হোসেন আলী হাসানকে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব অর্পন করা হয়। সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর জেলার আওয়ামী লীগের মধ্যে ঐক্য, দলকে গতিশীল করা, নেতৃবৃন্দের সাথে কর্মীদের সমন্বয় করা, সর্বোপরি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যাালয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভরসার কেন্দ্র-বিন্দুতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। একই সঙ্গে প্রতিটি উপজেলা/থানা/পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্নসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশিত সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষা ও দলকে সুসংগঠিত করার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দলকে গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা কে.এম হোসেন আলী হাসান শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নন তিনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত রেড ক্রিসেন্ট সিরাজগঞ্জ জেলা ইউনিটির সেক্রেটারি, ১৯৯৮-২০০১ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ডের মেম্বার পদে অধিষ্ঠিত থাকা অব¯’ায় তিনি বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে চীন ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেন। বর্তমানেও তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সিরাজগঞ্জ জেলা ইউনিটির সেক্রেটারি ও শহর সমাজ সেবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনীতি, সমাজসেবা ও ব্যবসার পাশাপাশি তিনি একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। মওলানা ভাসানী ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, হাজী আহম্মদ আলী আলিয়া কামিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি, কাজিপুরের উদ্গাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, উল্লাপাড়া প্রতিবন্ধি কল্যাণ সংস্থা কাজিপুরের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি, দত্তবাড়ী আলফালাহ জামে মসজিদের সভাপতি, উল্লাপাড়া জামে মসজিদ কাজিপুরের উপদেষ্টা ও সিরাজগঞ্জের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি হৈমবালা বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ বিএড কলেজের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কর্তৃক জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা কে.এম হোসেন আলী হাসান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে শহীদ হওয়ার পর তার একনিষ্ঠ কর্মী হওয়ায় এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ১৯৭৫ সালের পর তৎকালীন স্বৈর সরকার বীরমুক্তিযোদ্ধা কে.এম হোসেন আলী হাসানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বারবার তাঁর বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। সকল মামলা-হামলা উপেক্ষা করে দলের শীর্ষ নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত ও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৯০ এর সিরাজগঞ্জের গণআন্দোলন হোসেন আলী হাসানের বাসা থেকে শুরু হয়েছিল। ২০১৪ সালের বিএনপি-জামায়াতের আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান ব্যক্তিগতভাবে আমেরিকা, দোহা, বাহরাইন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ভারত, হল্যান্ড, জার্মানি, লন্ডন, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া সফর করেছেন। তিনি ২০১০ সালে সৌদি আরবের মক্কা মদিনায় পবিত্র হজব্রত পালন করেন। হজ্বব্রত পালনের পর থেকেই তিনি প্রতি বছর পবিত্র ওমরা হজ পালন করেন। সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ এলাকার জনগণ সর্বশেষ দাবি করেছেন এই বর্ষিয়ান জননেতা বীরমুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দিলে বিজয়ের সম্ভাবনা শতভাগ।