ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকায় বসত ঘর থেকে স্ত্রী শিখা হালদারের লাশ উদ্ধারের দীর্ঘ  চার মাসেও এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। যার ফলে ওই গৃহবধুর মৃত্যু রহস্য খোলাসা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্বজনদের ও এলাকাবাসীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।

আসামী পক্ষ প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়েও সংশয় আর হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত শিখার স্বজনরা।

নিহত শিখা হালদার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকায় সৌদিআরব প্রবাসী রতন হালদারে স্ত্রী। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিতেও গড়িমসি করছেন বলেও অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

নিহত শিখা হালদারের মা সারথী রানী হালদার বলেন, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। থানায় মামলা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি মহামান্য আদালতে ৩০২, ১০৯ ও ৩৪ ধারা দণ্ডবিধিতে মামলা করি। মামলা করার পর থেকেই বিবাদী পক্ষ আমার উপর বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা গরীব মানুষ। আমার মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আসামী দীলিপ হালদার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার। প্রভাবশালী ব্যক্তি তাই সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। পুলিশ আমাদের বলছেন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বা ভিসেরা প্রতিবেদন তাদের কাছে আছে কিন্তু আমাদের কোনো তথ্য জানাচ্ছেন না। পুলিশ বলছে, আদালতে রিপোর্ট পাঠালে আপনারা আদালতে যোগাযোগ করবেন। অযথা আমাকে বিরক্ত করবেন না। আমরা যেহেতু এগুলো বুঝি না, তাই তাদের ওপরেই নির্ভর করে আছি বলে জানান সারথী রানী হালদার।

এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরির্দশক তানভীর শেখ বলেন, মামলার তদন্ত কাজ শেষ। ময়নাতদন্ত বা ভিসেরা প্রতিবেদনও হাতে পেয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি তা আদালতে জমা দেওয়া হবে।

এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আমি কোনো বক্তব্য দিবো না। আদালতে এর বিচার হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৯ জুন নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকায় বসত ঘর থেকে গৃহবধূ শিখার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে শিখার মা আদালতে বাদী হয়ে ৩০২, ১০৯ ও ৩৪ ধারা দণ্ডবিধিতে মামলা করেন।