সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বালসাবাড়ি হাজি আমিনুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন বছরের কোটি টাকা আয়-ব্যয়ের হিসাবের কাগজপত্র নেই প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের কাছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং অন্য সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে হিসাব চাইলেও তিনি দিতে পারছেন না। অভিভাবক সদস্যদের দাবি, প্রধান শিক্ষক নিজেই বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, হাজি আমিনুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৮৫০ জন শিক্ষার্থীর মাসিক বেতন, সেশনচার্জ ভর্তি ফি থেকে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে আসে। তিন বছরে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মতো আয় হয়েছে। আয় থেকে বিভিন্ন খাতে ব্যয়ও হয়েছে যার নির্দিষ্ট কোনো হিসাব প্রধান শিক্ষকের কাছে নেই।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, আয়-ব্যয়ের হিসাবের জন্য আমাকে কিছু সময় দিতে হবে। এখন কিছু সমস্যার কারণে আমি হিসাব দেখাতে পারছি না।
হাজি আমিনুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহিদুর রহমান টেক্কা বলেন, প্রধান শিক্ষক তিন বছরের হিসাব দিতে পারেনি। তদন্ত কমিটি গঠন করে তাকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল হক বলেন, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন, আমি বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। পরিদর্শন শেষে প্রধান শিক্ষকের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। আমি এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডে একটি প্রতিবেদন পাঠাবো।