আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৬ সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) সংসদীয়  আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলাম সজীব।
সজীব আওয়ামী পরিবারের সন্তান তাই তরুন সমাজ ও ভোটারদের মাঝে ক্লিন ইমেজের  নেতা হিসাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
কামরুল ইসলাম সজীব গত ২০ নভেম্বর  আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়  কার্যালয় থেকে  ৬৬ সিরাজগঞ্জ- ৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে এমপি মনোনয়নের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন এবং ২১ তারিখ দলীয় মনোনয়ন জমা দেন ক্লিন ইমেজের এই নেতা সজীব। তার দাদা বেলকুচির প্রবীণ রাজনীতিবিদ মরহুম আমির  চেয়ারম্যান। তিনি সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও প্রতিমন্ত্রী মরহুম আব্দুল মমিন তালুকদার এর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন। মমিন তালুকদার এর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হওয়ার সুবাদে বঙ্গবন্ধুর সাথেও তার ঘনিষ্ঠতা ছিলো,বঙ্গবন্ধু উত্তরবঙ্গ সফর করলে মমিন তালুকদার এর সাথে তার দাদাও সফর সঙ্গী হইতেন।ক্যাপ্টেন মুনসুর সাহেব যখন  বাকশালের সাধারণ সম্পাদক হোন তখন মরহুম আমির চেয়ারম্যান ছিলেন নামের প্রস্তাবকারী। আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসাবে ছোট বয়স থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।১৯৯৬ সালের বিএনপির অবৈধ ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন বানচাল থেকে শুরু করে লগি বৈঠার আন্দোলন সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন।তিনি ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় নেতা হিসাবে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যে কারণে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিত । এছাড়াও তার বিনয়ী আচরণ দিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি দলীয় নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সাধারণ ভোটারদের কাছে টানতে সক্ষম হয়েছেন।
স্থানীয় আ.লীগের  অনেক নেতাকর্মীর মতে কামরুল ইসলাম সজীব একজন কর্মীবান্ধব ভদ্র নম্র ক্লিন ইমেজের নেতা হিসাবে এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে। স্মার্ট বেলকুচি ও চৌহালী নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে তিনি যথাযথ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে অনেকেই আশা ব্যাক্ত করেন।
কামরুল ইসলাম সজীব  বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ  করে মমতাময়ী মা  রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল  দেশ থেকে উন্নত স্মার্ট দেশে পরিনত করতে কাজ করছি। ইতিমধ্যে আমি আমার নির্বাচনী এলাকা বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলায় মমতাময়ী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের বার্তাসমূহ  গণসংযোগ, লিফলেট, পোস্টার ও বিলবোর্ড ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সরকারের উন্নয়ন চিত্র প্রকাশের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করে কাজ করেছি,মসজিদ ও মাদ্রাসা উন্নয়নে কাজ করেছি,করোনা কালীন সময়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও অসহায় নিন্ম আয়ের মানুষদের কে সাহায্য সহযোগিতা করেছি,বন্যার সময় গরীব অসহায় দের ত্রান সামগ্রী এবং শীত কালে শীতবস্ত্র বিতরণ,ঈদ সামগ্রী বিতরণ, যুবকদের জন্য খেলাধুলা সরঞ্জাম বিতরণ করেছি। এসব কিছু বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মমতাময়ী মা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আমাকে অবশ্যই মনোনয়ন দিবেন বলে বিশ্বাস  করি। আর যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে অবশ্যই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে এই আসনটি মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে সক্ষম হবো।  স্মার্ট বাংলাদেশে অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকসমাজকে নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো।বেলকুচি ও চৌহালী  যমুনা নদী ভাঙনরোধে করবো, স্মার্ট তাতশিল্প গড়ে তুলবো, মাদক নির্মূল, জঙ্গিবাদ মুক্ত সমাজ ও গ্রুপিং মুক্ত রাজনীতি এবং  সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবো। সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে মমতাময়ী মা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সহযোগিতায় বেলকুচি ও চৌহালী  উপজেলাকে একটি স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
সজীবের মনোনয়নপত্র জমাদানের পর থেকে দলীয় নেতা কর্মী,  তরুন সমাজ ও ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সারা জাগিয়ে তুলেছে। ভোটাররা চান বেলকুচি-চৌহালীর পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনে তরুন নেতৃত্বের আশা করছেন সবাই।