দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরীকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে শহরের এস এস রোডস্থ নিজস্ব বাসভবনে মরহুম ডাঃ ছানাউল্লাহ আনছারী’র ২৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে নেতাকর্মীদের এ নির্দেশ দেন ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। এর আগে তিনি শহরের মালশাপাড়া কবরস্থানে পিতার কবর জিয়ারত শেষে নেতাকর্মীদের একই নির্দেশ দেন।

এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ফারুক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম সজল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ একরামুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব খোকা, শিয়ালকোল ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন প্রমুখ। এ সভায় সদর উপজেলা, কামারখন্দ উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, আমাদের দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা যাকে যোগ্য মনে করেছেন তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। আমরা তার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভােেক কাজ করে তার বিজয় নিশ্চিত করবো।

তিনি আরও বলেন, যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্যু সভাপতি জননেতা মোতাহার হোসেন তালুকদারের পুত্রবধু। এছাড়াও ২০০৮ সালের নির্বাচনে জান্নাত আরা হেনরী নৌকা মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। তাকে আপনারা বিজয়ী করতে অতীতের মতোই কাজ করবেন। এটা আমার বিনীত অনুরোধ।

এমপি মিল্লাত আরও বলেন, আমরা কোন ভাইয়ের লোক না। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। তাই তার আদর্শ ধারন করে সকল ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করবো। এই উপজেলায় যেন কোনদিন সন্ত্রাসী নাশকতাকারীরা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছি মানে দলের কার্যক্রম থেকে সরে যাচ্ছি না। আমি সবসময় দলের সাথে থাকবো। আপনারা যেকোন সময় দলীয় কর্মসূচিতে আমাকে পাবেন। বিগত দিনে আপনারা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করেছেন সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।

আমি দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর সংসদ সদস্য ছিলাম। এই দীর্ঘ সময়ে সিরাজগঞ্জ-কামারখন্দের উন্নয়নে উল্কার মতো ছুটে বেড়িয়েছি। উন্নয়নমূলক কাজ এবং দলকে সংগঠিত করতে গিয়ে মনের অজান্তেই আপনাদের অনেকের মনে দুঃখ দিয়েছি। কষ্ট দিয়েছি। আপনারা আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সংসদ সদস্যর এমন বক্তব্যের পর আবেগ-আপ্লুত হয়ে সকল নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে সংসদ সদস্য তাদের সবাইকে একে একে বুকে জড়িয়ে শান্তনা দেন।