মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করলেন বাংলাদেশ আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল-মাহমুদ সরকার তারেক। সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আল মাহমুদ সরকার তারেক কামারখন্দ উপজেলার আলোক দিয়াড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম রহমতুল্লা পান্নার ছোট ছেলে।
আল-মাহমুদ সরকার তারেক জানান, মনোনয়ন দেয়ার মালিক মনোনয়ন বোর্ড এবং সর্বোপরি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। আমি ছাত্র রাজনীতি করি। আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম রহমতুল্লা পান্না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করেছি, আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যার নিকট প্রার্থনা থাকবে আমাকে এই নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমাকে মনোনয়ন দিলে এলাকার উন্নয়নের জন্য নিঃশর্তভাবে কাজ করব। রাষ্ট্রের যত সুবিধা আছে, সবকিছু দিয়ে এলাকার উন্নয়নের ইতিহাস বদলে দিতে চাই।
তিনি বলেন, আমি এমপি নমিনেশন নেওয়ার বহু আগে থেকে সিরাজগঞ্জের মানুষের জন্য কাজ করছি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুখে দুঃখে কাজ করে আসছি। আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু, নেতৃত্ব শেখ হাসিনা। মনোনয়নপত্র কিনেছি এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের পাশে দাঁড়াতে। আশা করি দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে ইনশাল্লাহ। সুযোগ পেলে আমি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই।
আল-মাহমুদ সরকার তারেক আরো বলেন, আমি রাজনীতিতে সক্রিয় আছি। গত ২০ বছরে আমাদের গায়ে কোনো কালিমা লাগেনি। বরং জনগণের সাথে সম্পক্ত আছি। জনগণের কাছে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন কাজ করেছেন, সেই অগ্রযাত্রাকে মানুষের কাছে তুলে ধরছি। আমরা এই ১৫ বছরে অন্যায় করিনি বরং কেউ অন্যায় করে থাকলে প্রতিবাদ করেছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে ভালো করব। কোনো পক্ষপাতিত্বে নেই এবং ছিলামও না। আশা করি, এবার অবশ্যই নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন।