রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কুতুবখালী এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম, সহকারী উপ- পরিদর্শক মোঃ লুৎফর রহমান ও নজরুল ইসলাম সিপাই, মোঃ উজ্জ্বল মিয়া সিপাই, মোঃ বাবর আলী সিপাই ( খিলগাঁও সার্কেল ) এবং ডিএমপির দুই জন ফোর্সের বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক তল্লাসির নামে নাটক করে ঘরে ঢুকে তান্ডব চালিয়ে, মোছাম্মদ নাজমা বেগম (৪৩) এবং কমলা বেগম (৩৪) এর বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর, টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট সহ জুয়েল ( ৩০ ) নামে একজনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪/০৯/২০২৩ইং তাং আনুমানিক দিন ১০:০০ ঘটিকার সময় উত্তর কুতুবখালী নিউষ্টার ফল মার্কেটস্থ মা ফাতেমা বাণিজ্যালয় নামক দোকানের সামনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম, সহকারী উপ- পরিদর্শক মোঃ লুৎফর রহমান ও নজরুল ইসলাম সিপাই, মোঃ উজ্জ্বল মিয়া সিপাই, মোঃ বাবর আলী সিপাই, আফিয়া আক্তার সিপাই, ডিএমপির দুই জন ফোর্‌স মোঃ নবু (২১) নামে এক ব্যক্তিকে ৬০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, মোঃ নবু নামে এক ব্যাক্তিকে ৬০ পিচ ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম গং গ্রেফতারকৃত নবুকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে কোন এক অজানা কারনে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভুক্তভোগী নাজমাকে মিথ্যা মামলা কিংবা ক্ষতি সাধন করার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগীর বাসায় প্রবেশ করে। অতঃপর ভুক্তভোগী নাজমা বেগমের উত্তর কুতুবখালী তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া বাসায় নবু নামে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আনুমানিক দিন ১১ ঘটিকার সময় মাদক তল্লাশি করার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম, সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ লুৎফর রহমান ও নজরুল ইসলাম সিপাই, মোঃ উজ্জ্বল মিয়া সিপাই, মোঃ বাবর আলী সিপাই ডিএমপির দুই জন ফোর্‌স  ভুক্তভোগীর  বাসার নিকট আসে।

ভুক্তভোগী নাজমার বাসায় তালাবদ্ধ পেয়ে উল্লেখিত অভিযুক্তকারী মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন এবং ডিএমপির দুইজন ফোর্‌স ভুক্তভোগীর পাশের রুমে বাস করা কমলা বেগম (৩৪) এর বাসায়  জোরপূর্বক অনাধিকার প্রবেশ করে ভুক্তভোগী নাজমা বেগম মাদক রেখেছে বলে নানারকম ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করে মাদক তল্লাশি নাটক করে কমলা বেগমের বাসার আসবাবপত্র তছনছ এবং নষ্ট করে ফেলে। কমলা বেগমের বাসায় মাদক তল্লাশির নাটক করে কোন মাদক না পেয়ে উল্লেখিত অভিযুক্ত কারীদের একজন গাজা নামক মাদক দিয়ে কমলা বেগমকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কমলা বেগমকে গাজা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার সময় কমলা বেগম দেখে ফেলার কারনে উল্লেখিত অভিযুক্তকারী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে কমলা বেগম প্রতিবাদ করার কারনে অভিযুক্তকারী কর্মকর্তাদের একজন ক্ষিপ্ত হয়ে কমলা বেগমের বাসা হতে মাদক বিক্রির টাকা বলে ১৫০০০/- (পনেরো হাজার) টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং কমলা বেগমের গায়ে হাত প্রদান করে। ভুক্তভোগী নাজমার অপর পাশের রুমে থাকা জুয়েল (৩০) নামে একজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় উল্লেখিত অভিযুক্তকারী অসাধু কর্মকর্তারা সজাগ করে নানারকম ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করে নাজমার মাদক কোথায় রেখেছে বলে জুয়েলকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। অবশেষে উল্লেখিত অভিযুক্তকারী অসাধু কর্মকর্তারা কমলা বেগমকে নানারকম ভয়ভীতিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মিথ্যে মামলার হুমকি প্রদান করে এবং কমলা বেগমের নিকট হতে জোর পূর্বক চাবি নিয়ে ভুক্তভোগী নাজমার বাসার তালা খুলে প্রবেশ করে।

উল্লেখিত অভিযুক্তকারী অসাধু কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলমের নির্দেশে অন্যান্য অভিযুক্তকারী মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা ভুক্তভোগী নাজমার বাসায় মাদক তল্লাশির নামে নাটক করে কোন রকম মাদক না পেয়ে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ এবং ভাঙচুর করে ফেলে। এমনকি কোন মাদক না পেয়ে উল্লেখিত অভিযুক্তকারী অসাধু কর্মকর্তারা ভুক্তভোগী নাজমার বাসার বিছানার নিচ হতে নগদ ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা এবং ৯ (নয়) আনা পরিমাণ স্বর্ণের গলার চেইন এবং ৬ (ছয়) আনা পরিমাণ স্বর্ণের কানের দুইটি জিনিস সহ বাসায় ব্যবহৃত ছাতাটি পর্যন্ত নিয়ে যায়। উল্লেখিত অভিযুক্তকারী অসাধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম গং এবং ডিএমপির দুই জন ফোর্‌স ভুক্তভোগী নাজমা এবং কমলা বেগমের বাসায় আনুমানিক দুই ঘন্টা মাদক তল্লাশির নামে নাটক করে ভুক্তভোগীর বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর, টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়ার পর ভুক্তভোগী নাজমাকে কমলা বেগমের নিকট মিথ্যে মামলা হুমকি প্রদান করে আনুমানিক দুপুর ১ঃ০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত অভিযুক্তকারী অসাধু কর্মকর্তারা বাসা হতে বের হয়ে যায়।

এছাড়া উল্লেখিত অভিযুক্ত অসাধু কর্মকর্তা ছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অন্যান্য অসাধু কর্মকর্তা কর্তৃক ভুক্তভোগী নাজমা বিভিন্ন সময় নানা রকমভাবে দমন, নিপীড়ন, নির্যাতন, মিথ্যা মামলাসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানায়। কাশেম, ইসমাইল, ইউসুফ, ইলিয়াস এবং বাদশা নামে কয়েকজন লোক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স বলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী নাজমাকে নানারকম ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে যায়।

সোর্স কাশেম, ইসমাইল, ইউসুফ, ইলিয়াস এবং বাদশা কে টাকা না দিলে ভুক্তভোগী নাজমাকে নানারকম ভয়ভীতিসহ মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। বর্তমানে ভুক্তভোগী নাজমা জানমালের চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে। এমতাবস্থায় উল্লেখিত অভিযুক্তকারী অসাধু কর্মকর্তাসহ সোর্স কাশেম, ইসমাইল, ইউসুফ, ইলিয়াস এবং বাদশা এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে।

ভুক্তভোগী  নাজমা বেগম সুবিচার পাওয়ার স্বার্থে জানমালের নিরাপত্তার জন্য মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের খিলগাঁও সার্কেলের উপ পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম, সহকারী উপ- পরিদর্শক মোঃ লুৎফর রহমান ও নজরুল ইসলাম সিপাই, মোঃ উজ্জ্বল মিয়া সিপাই, মোঃ বাবর আলী সিপাই এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে । যার সি.আর মামলা নং-৭৬৪ তারিখ- ০১/১১/২০২৩ ইং। বর্তমানে ৭ নং কোর্টে  মামলা টি মাননীয় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক পিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে।

এ বিষয়ে আদালতের কর্তৃক পিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করায় সুবিচার পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।