মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার শুঁটকি চাতাল-কন্যারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে তারা পাচ্ছে ১৩০-১৭০ টাকা মজুরি। অথচ একই কাজ করে পুরুষ শ্রমিকরা পাচ্ছে চারশ টাকা।
সরেজমিনে উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত মোহনপুর, বড়পাঙ্গাসী, উধুনিয়া সলঙ্গা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকার নানা স্থানে শুঁটকি উৎপাদনে চাতাল তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় নারী-পুরুষ মাছ পরিষ্কার করে চাতালে দিয়ে শুকিয়ে, আবার তা পরিষ্কার করে খাবার উপযোগী করছে।
এ কাজের অধিকাংশ শ্রমিক গ্রামাঞ্চলের অস্বচ্ছল পরিবারের অসহায় নারীরা। আর এসব নারীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নাম মাত্র মজুরি দিয়ে সারাদিন কাজ করিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও অভাব পিছু ছাড়ছে না শ্রমিকদের।
সলঙ্গার রামারচর শুঁটকি চাতালের কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, শুঁটকি তৈরির এই কাজ অন্য কাজের তুলনায় কঠিন। একটানা কয়েকদিন কাজ করলে হাতে ঘাঁ হয়ে যায়। এতো কষ্টের কাজ করেও আমরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। শুধুমাত্র পেটের দায়ে এতো কম টাকায় এ কাজ করছি।
শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি নারী শ্রমিক এসে কাজের জন্য বসে থাকে। তাদের নিষেধ করলে কান্নাকাটি করে অনুরোধ করে। অতিরিক্ত শ্রমিকের কারণে কম মজুরি দিয়ে থাকি। এছাড়া মাছের দাম বেশি হওয়ায় ব্যবসায় ক্রমাগত লোকসান হচ্ছে তাই চাইলেও বেশি মজুরি দিতে পারি না।