সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সহায়ক সুমনের বিরুদ্ধে চুক্তিপত্রের স্ট্যাম্প বাবদ অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় কাজের বাস্তবায়ন কমিটির নিকট থেকে চুক্তিপত্রের জন্য ৩শত টাকার স্ট্যাম্পের বিপরীতে এক হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চালা উত্তর পাড়া বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক সবুজ রহমান জানান, আমার এলাকার মসজিদের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য বায়ান্ন হাজার টাকার একটি প্রকল্প দিয়েছেন। তার কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য আসছিলাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকরতার কার্যালয়ে। এখানে এসে কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর অফিস সহায়ক সুমন আমাকে চুক্তিপত্রের জন্য তিনশত টাকার স্ট্যাম্প দিয়ে এক হাজার দাবি করেন। আমি তখন তাকে বলি তিনশত টাকর ট্যাম্প কেন ১ হাজার টাকা দেব। সে তখন বলেন এক হাজারই দিতে হবে। এটার দাম এক হাজার। যেহেতু বিল নিতে হবে তাই আমি বাধ্য হয়েই এক হাজার টাকা তাকে দেই। শুধু আমি না আমার মতো করে সবার কাছে থেকে তিনশত টাকার ট্যাম্পের দাম এক হাজার করে নিচ্ছে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে এই অফিস সহায়ক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে নিচ্ছেন।

উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামচুল হক জানান, প্রকল্পের কাজের চুক্তিপত্রের জন্য তিনশত টাকার ট্যাম্পের দাম এক হাজার টাকা নেয় সুমন। তবে যাদের সাথে তার সম্পর্ক ভালো তার কাছ থেকে পাঁচ ছয়শত টাকা নেয়।

এবিষয়ে জানার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সহায়ক সুমনের সাথে কথা হলে তিনি চুক্তিপত্রের স্ট্যাম্প বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনশো টাকার স্ট্যাম্পের দাম এক হাজার টাকা নেই কারণ অনেক খাটাখাটুনি করতে হয়। তাই একটু পারিশ্রমিক হিসাবে একটু বেশী নেই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হেলাল মুঠোফোনে জানান, আমি এখানে নতুন এসেছি। তাই এ সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।